অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবৃাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসনের তিন সংসদ সদস্য প্রার্থী। রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর তারা হাতে হাত রেখে এ ‘শপথ’ করেন, এবং মুহূর্তে শপথের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
শপথ করা প্রার্থী তিনজন হলেন- জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত আহমেদ রিয়াজ, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত আনোয়ার হোসেন ওরফে মঞ্জু, ও নিবন্ধনহীন ধর্মভিত্তিক সংগঠন আঞ্জুমানে আল ইসলাহের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী কাজী ময়নুল ইসলাম। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ওই তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. উর্মি বিনতে সালাম। অপর প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত ঘোষণা করা হয় এবং বাতিল করা একজনের মনোনয়ন। আসনটিতে মোট প্রার্থী পাঁচজন।
এ নিয়ে সংসদ সদস্য প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট দেন। ওই পোস্টে দেখা যায়, আনোয়ার হোসেন ও ময়নুল ইসলামকে দুই পাশে রেখে রিয়াজ মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন। দুই প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে রিয়াজ সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ‘দেশ-বিদেশে যারা ভোটার আছেন, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হইছে। ভোট আপনারা দিতা। আমরা তিনজনে মাননীয় মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন (পরিবেশমন্ত্রী) সাহেবের লগে নির্বাচন করিয়ার।’ একপর্যায়ে রিয়াজ বলেন ‘আমরা যদি মনে করি, ওয়াদা করিয়ার, ওয়াদা’ বলে বাকি দুজনের হাত তার হাতের ওপর রেখে বলেন, ‘আমরা যদি মনে করি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, সব ধরনের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাইব, পুলিশ যদি বিএনপি-জামায়াতের ভোটারদের কোদায় (হয়রানি) না, ভোটকেন্দ্রে হামলা হইত না, ভোট ডাকাতি হইত না, তাহলে নির্বাচন করমু। আর না অইলে ১৭ তারিখ (১৭ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন) আমরা নির্বাচন থাকি সরি যাইমু। মন্ত্রী মহোদয় বিনা ভোটে পাস।’ রিয়াজের পোস্ট করা ওই ভিডিওটি পরে ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জানান, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকলে অংশগ্রহণ করে লাভ কী? এ ব্যাপারে আমি একমত।’
আরেক প্রার্থী ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘স্বচ্ছ নির্বাচন না হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ছওয়াবের হবে না।’
Leave a Reply